__সিকান্দার আবু জাফর
পাঁঠা কয় পাঁঠিকে
তুমি আমি খাঁটি কে
এই নিয়ে ঝগড়াটা
কদ্দিন চলবে?
ভোর থেকে রাত তক
ঝালঝাল টকটক
কানপচা কথাগুলো
কত আর বলবে?
দিন মাস বৎসর
মার মার ধর ধর
মচ্ছবে কেটে গেল
যেন চিরকালটা,
চোখ গেল কার দিকে
মন দিল কোনটিকে-
তাই ভেবে গড়া হলো
তিল থেকে তালটা।
প্রণয়ের তত্ত্ব
চির আনুগত্য
পলে পলে হয়ে গেল
হতাশায় জীর্ণ,
সে কথা কে শুনলো
অশ্রু কে গুনলো
জানল না এ হৃদয়
কতটা বিদীর্ণ।
কারো সাথে লড়ি না
কোন খাদে পড়ি না
ইতিউতি চলি ফিরি
এইটুকু মাত্র,
কচি পাতা কুড়োবার
তৃণমূল উড়োবার
প্রয়োজনে ছুটে চলি
জ্বলে কেন গাত্র?
জীবনের পণ্য
আনি কার জন্য?
বোঝা বয়ে সোজা পথে
চলি কার জন্যে?
অথচ কী ভাগ্য
শুধু বৈরাগ্য
চেখে চেখে এতদিনে
হয়ে গেছি হন্যে।
পাঁঠি কয় পাঠাকে
এ-ল্যাজের ঝাঁটাকে
মিছিমিছি কেন তবে
এত ভয় নিত্য?
মসৃণ গাত্র
যদি দিন রাত্র
পূণ্যেই ভরা যদি
অবিরাম চিত্ত।
মুহূর্তেই ক্রুদ্ধ
রণে উদ্বুদ্ধ
পাঁঠা কয় শিং নেড়ে
স্বর শর-তীক্ষ্ণ,
সব কিছু জানছি
তবু হার মানছি
কারণ চাই না শুধু
গৃহ সুখে বিঘ্ন।
না হলে যা রটছে
আড়ালে যা ঘটছে
ছিঁটেফোঁটা কিছু তার
কানে ভেসে আসছে,
জানি কেন কালুয়া
ধলা বুধো লালুয়া
আনাচে কানাচে ঘুরে
মাঝে মাঝে কাশছে।
কত কিছু শুনছি
তবু দিন গুনছি
একদিন ঝুঁটা ফুঁড়ে
বের হবে সাচ্চা,
যত বোঝা টানছি
মনে মনে জানছি
কার পেটে বাড়ে কার
হারামীর বাচ্চা।
তাই বলি দ্বন্দ্ব
আনে শুধু মন্দ
তার চেয়ে মাঝেমাঝে
খেতে দিও দুগ্ধ,
কোলাহলে কাজ নেই
হৃদয় তো জানছেই-
দু'জনার চাতুরীতে
দু'জনাই মুগ্ধ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন