কবিতার তেজষ্ক্রিয়তায় বর্গীরা অনুভব করে হিরোশিমা বা নাগাসাকির ধ্বংসের রূপ। তাইতো সততই তারা তটস্থ থাকে। এরকম কবিতাকে তারা পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালী বোমা ভাবে। এ রকমই একজন পারমাণবিক বোমা কবিতার কবি হলেন ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি কবি দারিন তাতোর। নিম্নোক্ত কবিতাটি লিখে ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য গত ৩ মে ২০১৮ তে তাঁর আটবছরের জেল হয়েছে। কবিতাটি হচ্ছে:
প্রতিহত করো, হে আমার জনতা, রুখে দাও ওদের
প্রতিহত করো, হে আমার জনতা, রুখে দাও ওদের
জেরুজালেমে আমি আমার ক্ষতগুলোকে সজ্জিত করেছি
আর আমার বিষাদগুলোকে নিঃশ্বাস নিতে দিয়েছি
আর আমার করতালুতে করে আত্মাকে বহন করেছি
একজন ফিলিস্তিনি আরবের জন্য।
‘শান্তিপূর্ণ সমাধান’র আগে আমি বিনাশ হবো না
কখনোই আমার কেতনকে নমিত করবো না
যতক্ষণ না তাদেরকে আমার ভূমি হতে বিতাড়িত করতে পারবো।
আশু এক সময়ের জন্য তাদেরকে হিসেব করেছি।
প্রতিহত করো, হে আমার জনতা, রুখে দাও ওদের।
প্রতিহত করো, হে আমার জনতা, প্রতিরোধ গড়ো
ঔপনেবেশিক দস্যুদের রুখে দাও।
বখরা করে নাও লজ্জাকর সংবিধানের
যেটি অসম্মান ও খেলোকে আরোপিত করে
আর আমাদেরকে ন্যায়বিচার পুনঃস্থাপনে বিরত রেখেছে।
ওরা নিষ্পাপ শিশুদেরকে পুড়িয়েছে;
যেমনটি হাদিল, ওরা ওকে প্রকাশ্যেই গুলি করেছিল,
তাকে দিনের উজ্জ্বল আলোতেই হত্যা করেছিল।
প্রতিহত করো, হে আমার জনতা, রুখে দাও ওদের।
রুখে দাও ঔপনিবেশিকদের আক্রমণ করে।
আমাদের চারপাশে ওদের মুতসুদ্দিদের প্রতি কোনো দয়া নয়
কে আমাদেরকে শান্তিপূর্ণ ঘোরের সঙ্গে যুক্ত করে রাখবে?
সন্দেহপ্রবণ জবানগুলোকে ভয় পেয়ো না;
তোমার হৃদয়ের সত্য অনেক শক্তিশালী,
এটা এ রকমই বৃহৎ যেমনটি তোমার ভূমিতে তোমার প্রতিরোধ
সেটি জীবিত আছে হানা দেয়ায় ও বিজয়ের মধ্যে।
তাই আলী তার কবর থেকে আহ্বান করছে:
রুখে দাও, আমার বিদ্রোহী জনতা।
ধূনার উপরে গল্প হিসেবে আমার নাম লিখ;
তোমাদের মধ্যে আমি সাড়া হিসেবে বিদ্যমান থাকব।
প্রতিহত করো, হে আমার জনতা, রুখে দাও ওদের।
প্রতিহত করো, হে আমার জনতা,/ রুখে দাও ওদের।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন