বুধবার, ২৮ মে, ২০১৪

স্বরপ্রক্ষেপণ, ছড়া ও কবিতা, ভাব ও রস

বিষয়: স্বরপ্রক্ষেপণ
প্রশিক্ষক: মীর বরকত
স্বরপ্রক্ষেপণ: স্বর ২ ধরনের।
১. স্বরধ্বনি ২. ব্যঞ্জনধ্বনি।
যে স্বর নিজে নিজে উচ্চারিত হয় অন্যের কোন সাহায্য প্রয়োজন পড়ে না তাকে স্বরধ্বনি বলে।
মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি, যথা:- ই-এ-অ্যা-আ-অ-ও-উ

ই এর উচ্চারণ: উপর ও নিচের পাটির দাঁতে কামড় দিয়ে ‘ই’ উচ্চারিত হবে। যেমন: ইলিশ, ইচ্ছা।

এ এর উচ্চারণ: দু’ঠোঁট সামান্য ফাঁক হয়ে (ডানে-বামে) লম্বালম্বিভাবে ‘এ’ উচ্চারিত হবে। যেমন: একটি, একুশ
অ্যা এর উচ্চারণ: দু’ঠোঁটের মাঝে প্রায় দু’আঙ্গুলের মতো ফাঁক রেখে (ডানে-বামে) লম্বালম্বিভাবে ‘অ্যা’ উচ্চারিত হবে। যেমন: এক, একা।
আ এর উচ্চারণ: মুখ ডান বামে সমান ভাবে খুলে ‘আ’ উচ্চারিত হবে। যেমন: আমি, আনারস, আসর।
অ এর উচ্চারণ: মুখ উপর-নিচে সমান ভাবে খুলে কার্প মাছের মতো হা করে ‘অ’ উচ্চারিত হবে। যেমন: অসুখ, অসৎ।
ও এর উচ্চারণ: দু’ঠোঁট গোল করে মোটামোটি স্বাভাবিক হা করে ‘ও’ উচ্চারিত হবে। যেমন: ওঠো, ওপাশ।
উ এর উচ্চারণ: দু’ঠোঁট ছুঁচোর (চিকা) মতো গোল বানিয়ে সামনের দিকে লম্বা করে ‘উ’ উচ্চারিত হবে। যেমন: উট, উকিল।
ও-আ-ই
ও-আ-ই
উ-ই-উ
এ-অ্যা-অ-ও
সরগমের সাহায্যে মৌলিক ৭টি স্বরধ্বণির অনুশীলন হলো:
ও-আ-ই-উ-এ-অ্যা-অ
সা-রে-গা-মা-পা-ধা-নি-সা
কি-যে-খে-লা-ক-রো-নু-টু
ই-এ-অ্যা-আ-অ-ও-উ-উ
উচ্চারণ:-
তক তক থক থক
তাল পাতা চক চক
তৈ তৈ থৈ থৈ
থালা ভরা আছে কৈ
ড্যা রা ডা-ড্যাড-ডা /ড্যারাডা ডা
ড্যা রা ডা-ড্যাড-ডা /ড্যারাডা ডা
কী কী কী কী কী কী কী কী কী কাহ
ক চ ট ত প
গ জ ড দ ব
খ ছ ঠ থ ফ
ঘ ঝ ঢ ধ ভ
া ি ী ু ূ ৃ ে ৈ াে ৗে দিয়ে পড়তে হবে
কি কি কি কাহ
গি গি গি গাহ
বি বি বি বাহ
পি পি পি পাহ
মি মি মি মাহ
নি নি নি নাহ
কা কি কী কু কূ কৃ কে কৈ কো কৌ
চা চি চী চু চূ চৃ চে চৈ চো চৌ
ল ফলা দিয়ে উচ্চারণ করা
ক্লা ক্লি ক্লী ক্লু ক্লৃ ক্লে ক্লৈ ক্লো ক্লৌ
ক হতে পর্যায়ক্রমে স পর্যন্ত করা যেতে পারে।

*ছড়া ও কবিতা*
ছড়া ও কবিতার মাঝে পার্থক্য সমূহ
( নোট: শিশুরা কথা বলার ক্ষেত্রে অকপটে বলে ফেলে কিন্তু বড়রা তা সম্পাদন করে বলে)
(১) কবিতা : কবিতার শুরু থাকবে, ভূমিকা, উদ্দেশ্য, অর্থ থাকতেই হবে, থাকবে শরীর।
(১) ছড়া : ছড়ার ক্ষেত্রে কোন পরম পরা খোঁজে যাবে না।
(২) মনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে।
(৩) মনকে সহজ জায়গায় নেয়া সম্ভব হয়ে উঠে।
(৪) বিচ্ছিন্নতা গোছানোর কাজ করে ছড়া।
(৫) মনের ব্যায়াম করা যায়।
(৬) মনের জটিলতা দূর করা যায়।
(৭) ছড়ায় শুরু, ভূমিকা, উদ্দেশ্য, অর্থ ও শরীর থাকতে পারে নাও থাকতে পারে।
(৮) ছড়া মূলত প্রাচীন লোকোকাহিনী।
আগডুম বাগডুম
আগডুম বাগডুম
ঘোড়াডুম সাজে
ঢাকঢোল ঝাজর বাজে
বাজতে বাজতে চলল ঢুলি
ঢুলি গেল কমলাফুলি
কমলাফুলির টিয়েটা
সূর্যি মামার বিয়েটা।
(আমার এমন মধুর বাংলা ভাষা-জসিম উদদীন)

বিষয়: ভাব ও রস
Filling -অনুভূতি
Emotion-আবেগ
Mood-ভাব-রস
(১)Filling -অনুভূতি : কোন ঘটনায় মনের মাঝে তাৎক্ষণিক পে াক্রয়া-প্রতিক্রিয়া তাকে Filling -অনুভূতি বলা হয়। যেমন- কোন বন্ধুর আপনজনের মৃত্যুতে তার প্রতি শান্তনা দেয়া/অনুভূতি দেখানো।
(২)Emotion -আবেগ : গভীর অবস্থা অর্থাৎ যে বন্ধুটি আপনজন হারিয়েছে নিজেকে তার স্থানে ভাবা এবং নিজের মাঝে তেমন পরিস্থিতি তৈরি করা।
(৩)Mood- ভাব-রস : যে ঘটনার প্রতিক্রিয়া মনে থেকে যায় অর্থাৎ কোন কিছু দেখে বা উপভোগ করে তার রেশটা মনের গভীওে গেথে যায়।
(Filling -অনুভূতি
Emotio -আবেগ ) দুটি বিষয় ভাবের সাথে জড়িত ভাব মূল লৌকিক।
Mood-ভাব-রস- যা সাদ নেয়া/আস্বাদন করা যায় অর্থাৎ শিল্প উপভোগের মানুষের মনে যেটির স্থায়ীরুপ নেয় সেটিকেই রস বলে রস মূলত অলৌকিক।
* রস *
রস: শিল্প উপভোগের পর শ্রোতার মনে যে অনুভূতি জাগ্রত হয় তাকে রস বলে।
[উৎপাদক+পণ্য+ভোক্তা= ( ভোক্তার অনুভূতি) রস]
রস:- বিভাবের দ্বারা জাগ্রত
অনুভাবের দ্বারা প্রকাশিত
সঞ্চারী বা ব্যভিচারী দ্বারা অধিকতর স্পষ্ট হয়ে উঠা স্থায়ীভাবের সামগ্রিক অভিব্যক্তিকে ‘রস’ বলে।
(নোট: একেকটি ভাব থেকে ১টি করে রসের উদ্ভব রসের ঘটে কিন্তু রস থেকে ভাবের উদ্ভব হয় না)
* ভাব *
ভাব: কবি বা নাট্যকারের মনোগত বিষয় সম্পর্কে বাক্য দ্বারা, অঙ্গভঙ্গি দ্বারা, মুখের অভিব্যক্তি দ্বারা কিংবা অভিনয় দ্বারা দর্শক শ্রোতাকে যদি ভাবায় তবে তাকে ‘ভাব’ বলে।
* ভাব ৪ প্রকার
১. স্থায়ী ভাব
২. বিভাব
৩. অনুভাব
৪. অস্থায়ী ভাব
* স্থায়ী ভাব *
স্থায়ী ভাব: জৈবিক বা সামাজিক কতগুলো ভাব/ অনুভূতি মানুষের মনে সুপ্তভাবে থাকে বাইরের উপযোগ বা পরিবেশ পেলে তা জাগ্রত হয় তাকে স্থায়ীভাব বলে।
স্থায়ীভাব প্রকাশের উপায়: অঙ্গভঙ্গি দ্বারা বা কথার দ্বারা স্থায়ীভাব প্রকাশিত হয় (আঙ্গিক/বাচিক)।
স্থায়ীভাব ৯টি
(১) রতিভাব = শৃঙ্গার রস
(২) শোকভাব = করুণ রস
(৩) হাসভাব = হাস্য রস
(৪) ভয়ভাব = ভয়ানক রস
(৫) ক্রোধভাব = রৌদ্র রস
(৬) উৎসাহভাব = বীর রস
(৭) বিস্ময়ভাব = অদ্ভুত রস
(৮) জুগুপ্সাভাব (ঘেন্যা)= বীভৎস রস
(৯) শমভাব = শান্ত রস
* কবিতার ২টি দিক থাকে *
১. আত্মা
২. শরীর
* ছন্দ *
ছন্দ: শব্দের দোলা বা গতিকে ছন্দ বলা হয়।
(ছন্দের কাজ হচ্ছে কথাকে নতুন করে তুলে ধরা।)
অথবা গদ্যের স্বাভাবিক পদস্থাপনের বন্ধনকে শিথিল করে সুর-লয় সহযোগে ভাবাবেগের গতি বাড়িয়ে বাক্যকে রসাত্মক করে তোলার জন্য বিশেষ বিশেষ রূপকল্প অনুসারে শব্দ-ধ্বনির বিন্যাস রীতিকে ছন্দ বলে।
(ছন্দের কাজ হচ্ছে কথাকে নতুন করে তুলে ধরা।)
(১) রতিভাব-শৃঙ্গার/আদিরস=প্রেমের ভাব (নোট: প্রিয় বিষয়ের প্রাপ্তি দ্বারা শৃঙ্গার রসের উৎপন্ন হয়। ঋতু.অলংকার, প্রিয়জনের সঙ্গ, সঙ্গীত ও কাব্যের/শিল্পের উপভোগ, প্রমাদ ভ্রমণের দ্বারা শৃঙ্গার রসের উদদ্ভূত হয়।)
(২) শোকভাব-করুণ রস= হারানো (নোট: প্রিয়জনের বিরহ, বিত্তনাশ, বধ, দুঃখবোধ, বিচ্ছেদ হলে শোকরসের উৎপত্তি হয়।)
(৩) হাসভাব-হাস্য রস= আনন্দ (নোট: কৌতুকজনক কাজ বা বাক্য থেকে হাস্যরসের উৎপত্তি। কোন কাজের সঙ্গে কারণের, কারণের সঙ্গে কাজের, ইচ্ছার সঙ্গে অবস্থার, উদ্দেশ্যেও সঙ্গে উপায়ের, সঙ্গতির সঙ্গে অসঙ্গতির প্রকট হলে কৌতুকের জন্ম হয় আর তখনই হাস্য রসের সৃষ্টি হয়।)
(৪) ভয়ভাব-ভয়ানক রস= আহত বা নিহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে/ দেখা দিলে (নোট: যে সকল কারণে মানুষের মনে ভয় ও আতঙ্ক তৈরী হয় তাকে ভয়ভাব ও ভয়ানক রস বলে। ঝুহবৎমু ঊভভবপঃ- এর মতো কাজ করে। যেমন-কেউ অন্ধকার রাতে একা রাস্তায় চলছে তখন গান ধরে।)
(৫) ক্রোধভাব-রৌদ্র রস= অন্যের আচরণ পছন্দ না হলে (নোট: ক্রোধ উৎপাদনকারী রসকে রৌদ্র রস বলে। এতে অঙ্গ ও কাজকর্ম হয় ভীষণ প্রকৃতির, গতিবিধি হয় উগ্র। জগন্যতম অপরাধীর প্রতি মানুষের হৃদয়ের যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।)
(৬) উৎসাহভাব-বীর রস= ভালো কাজের প্রেরণা জোগাই/ দিতে (নোট: উৎসাহ উত্তম প্রকৃতি বিশিষ্ট লোকের হয়। তা উৎপন্ন হয় অবিষণœভাব, শক্তি, ধৈর্য-শৈর্য প্রভৃতির দ্বারা। মহত্তম যে কোন সংগ্রামের লক্ষ্যে বীর রস উৎপন্ন/সঞ্চারিত হয়। যেমন-১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। বীর রসের কয়েকটি শ্রেণি রয়েছে-যুদ্ধবীর, কর্মবীর, দানবীর, দয়াবীর, সত্যবীর, পান্ডিত্ববীর, ক্ষমাবীর, বলবীর ইত্যাদি।)
(৭) বিস্ময়ভাব-অদ্ভুত রস= অবাক বা বিমুগ্ধ হলে (নোট: যে সব বিষয় সচরাচর ঘটে না বা অসধারণ/ বিস্ময়জনক কোন কিছু দেখলে এ রসের উৎপত্তি হয়।)
(৮) জুগুপ্সাভাব (ঘেন্যা)-বীভৎস রস= যা দেখে থু থু আসে (অরুচি লাগে) (নোট: অপ্রিয় বিষয় শ্রবণ, দর্শন, কোন ব্যক্তি বাব স্তুও মধ্যে রীতিবিরুদ্ধ/ বিচ্ছৃঙ্খল কিছু দেখলে বীভৎস রসের সৃষ্টি হয়।)
(৯) শমভাব-শান্ত রস= আধ্যাতিক (নোট: আধ্যাতিক কিছু ঘটলে বা জাগতিক জীবনের বাইওে গিয়ে কিছু চিন্তা করলে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় মনে প্রাণে প্রশান্তি অনুভব করে সেটিই শান্ত রস।)
* ভাবের কাজ: কবিতায় একটি ভাব হবে প্রধান অন্যগুলো হবে গৌণ, বাকী গৌণভাবগুলো প্রধান ভাবটিকে সর্বদা সহযোগিতা করবে।
* বিভাব *
বিভাব: বাইরের যে পারিপার্শ্বিক কারণ ভিতরে জাগ্রত হয় তাকে বিভাব বলে।
বিভাব প্রকাশিত হবার কারণ- ২ ধরনের ১. ব্যক্তি কারণ, ২. পরিবেশতগত কারণ।
বিভাব ২ প্রকার
১. অবলম্বন বিভাব
২.উদ্দীপন বিভাব
অবলম্বন বিভাব: ব্যক্তিকারণ ভাববে অবলম্বন বিভাব বলে।
উদ্দীপন বিভাব: পরিবেশগত কারণকে উদ্দীপন বিভাব বলে।
* অনুভাব*
অনুভাব: যে আঙ্গিক বা বাচিক উপায়ে স্থায়ীভাব বাইরে প্রকাশ করে/ পায় তাকে অনুভাব বলে।
(অনুভাব শিল্পের প্রকাশ)
* অস্থায়ী ভাব *
অস্থায়ী ভাব: অস্থায়ী ভাব স্থায়ীভাবকে জাগিয়ে দেয় বা ভাড়িয়ে দেয়।
অস্থায়ীভাব ৩৩টি
১.হর্ষ, ২.বিষাদ, ৩. গ্লানি, ৪. শঙ্কা, ৫. আবেগ, ৬. উদাসিনতা, ৭. জড়তা, ৮. চপলতা, ৯. মদ, ১০. শ্রম, ১১. নির্বেদ, ১২. অসূয়া, ১৩. আলস্য, ১৪. গর্ব , ১৫.স্মৃতি, ১৬. মতি, ১৭. ধৃতি, ১৮. সুপ্ত, ১৯. মরণ ২০. ব্যধি, ২১. নিদ্রা, ২২. উগ্রতা, ২৩. উন্মাদ, ২৪. ত্রাস, ২৫. অমর্ষ, ২৬. বিরোধ, ২৭. অবহিত্থা, ২৮. অপস্মার, ২৯. দৈন্য, ৩০. বিতর্ক, ৩১. ঔৎসুক্য, ৩২. চিন্তা, ৩৩. ব্রীড়া
হর্ষ বিষাদ গ্লানি শঙ্কা আবেগ ঔৎসুক্য
মদ শ্রম নির্বেদ গর্ব অসূয়া চিন্তা
স্মৃতি মতি ধৃতি আলস্য সুপ্ত ব্রীড়া
উদাসিনতা মরণ ব্যধি নিদ্রা অপস্মার অবহিত্থা
দৈন্য উন্মাদ অমর্ষ জড়তা ত্রাস
উগ্রতা চপলতা বিরোধ বিতর্ক
অস্থায়ীভাব ২ প্রকার
১.সঞ্চারী ভাব/ব্যভিচারিভাব ৩৩টি। যথা:- ১.হর্ষ, ২.বিষাদ, ৩. গ্লানি, ৪. শঙ্কা, ৫. আবেগ, ৬. উদাসিনতা, ৭. জড়তা, ৮. চপলতা, ৯. মদ, ১০. শ্রম, ১১. নির্বেদ, ১২. অসূয়া, ১৩. আলস্য, ১৪. গর্ব , ১৫.স্মৃতি, ১৬. মতি, ১৭. ধৃতি, ১৮. সুপ্ত, ১৯. মরণ ২০. ব্যধি, ২১. নিদ্রা, ২২. উগ্রতা, ২৩. উন্মাদ, ২৪. ত্রাস, ২৫. অমর্ষ, ২৬. বিরোধ, ২৭. অবহিত্থা, ২৮. অপস্মার, ২৯. দৈন্য, ৩০. বিতর্ক, ৩১. ঔৎসুক্য, ৩২. চিন্তা, ৩৩. ব্রীড়া।
২. সাত্ত্বিকভাব ৮টি।
সত্ত্ব শব্দের অর্থ হচ্ছে মন থেকে জাত বা সহজে মনে যা উৎপন্ন হয়। এসবের বিশেষত্ত্ব স্বভাব বা মেজাজগত। যথা:- (১) স্বেদ: (২) স্তম্ভ (৩) রোমাঞ্চ (৪)স্বরভেদ (৫) বেপথু (৬) বৈর্বণ্য (৭) অশ্রু (৮) মূর্চ্ছ।
(১) স্বেদ: ক্রোধ, ভয়, হর্ষ, লজ্জা, দুঃখ, ¤্রম, রোগ, তাপ, ব্যায়াম, ক্লান্তি, সংঘর্ষ থেকে হয় ঘর্শ বা ঘাম।
(২) স্তম্ভ : হর্ষ, ভয়, রোগ, বিস্ময়, মত্ততা ও ক্রোধ থেকে স্থির বা অবশভাব সৃষ্টি হয়।
(৩) রোমাঞ্চ : স্পর্শ, ভয়, শীত, ক্রোধ থেকে শিহরণ বা রোমাঞ্চ ভাব।
(৪) স্বরভেদ : হর্ষ, ভয়, রোগ, বিস্ময় ও ক্রোধ থেকে স্বরবিকৃতি, স্বরভঙ্গ ও কণ্ঠের পরিবর্তন হয়।
(৫) বেপথু : শীত, ভয়, হর্ষ, কোপ, স্পর্শ ও জরা থেকে কম্প বা কাঁপার সৃষ্টি হয়।
(৬) বৈর্বণ্য : শীত, ভয়, ক্রোধ, শ্রম, রোগ, ক্লান্তি ও তাপ থেকে বর্ণহীনতার সৃষ্টি হয়।
(৭) অশ্রু : আনন্দ, দুঃখ, ধোঁয়া, কাজল, হাই তোলা, ভয় শোক, রোগের কারণে চোখে পানি আসে।
(৮) মূর্চ্ছ : শ্রম, মূর্ছা, মত্ততা, নিদ্র, আঘাত ও মোহ প্রভৃতির কারণে জ্ঞানহীনতার সৃষ্টি হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ক্লিক করলেই ইনকাম